মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর ইতিহাস পরিসংখ্যান এবং পিচ রিপোর্ট

আজ আমরা জানব মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর ইতিহাস পরিসংখ্যান এবং পিচ রিপোর্ট সম্পর্কে।শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশের একমাত্র প্রাচীন স্টেডিয়াম।এটি বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপ এর উদ্বোধনী ম্যাচ ও অনুষ্ঠিত হয় শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।এছাড়াও বিশ্বমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের কাছে অন্যতম আইডল এই শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর ইতিহাস

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। এটি একটি আইসিসি অনুমোদিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ। এখানে আঞ্চলিক খেলা সহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত বাংলার প্রখ্যাত নেতা এ কে ফজলুল হক এর উপাধি থেকে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিলো। এটি পূর্বে মিরপুর স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল।২০০৪ সালে ভেন্যূটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পরিবর্তে পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতীয় দলের নিজস্ব মাঠ হিসাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচের জন্য এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারন ক্ষমতা ২৫০০০ হাজার।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ম্যাচ ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ম্যাচটি বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যে অনুস্থিত হয়েছিলো। ২০০৭ সালে এই মাঠে বাংলাদেশ বনাম ভারত এর খেলার মাধ্যমে টেস্টে অভিষেক হয়।২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই মাঠে ১৫টি টেস্ট এবং ৯৮ টি ওডিআই ম্যাচ অনুস্থিত হয়।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ রিপোর্ট

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট সাধারন ব্যাটিং সহায়ক হিসাবে পরিচিত। এখানে প্রথমে ফাস্ট বোলাররা সুবিধা করতে পারলেও সময়ের সাথে সাথে উইকেট ব্যাটিং এর জন্য ভালো সুবিধার হয়ে উঠে। এখানে থেকে স্পিনাররা মাঝে মধ্যে উইকেট থেকে সাহায্য পেয়ে থাকেন। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট সাধারন ব্যাটিং সহায়ক বিশেষ করে ম্যাচের ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করা সহজ হয় দলের জন্য।

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেটের আচরণ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে যা যেকোনো দলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।এই পিচে কিছু সময় টস জিতে প্রথমে বোলিং করা ভালো হতে পারে এর কারন ২য় ইনিংসে শিশিরের কারনে ব্যাটিং করা কঠিন হতে পারে।তবে এই স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক যা উচ্চ স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।যা দ্রুত সমাধানের কাজ করছে বিসিবি ( বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড )

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পরিসংখান

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বর্তমানে ক্রিকেট মাঠ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ২৬০০০ হাজার দর্শক। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্থাপিত হয় ২০০৬ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নাম করণ করেন। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গড় তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মাঠে ৮৩ % আর্দ্রতা ও আংশিক মেঘলা ৪০% হওয়ার সম্ভবনা থাকে। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ম ইনিংসে গড় রান ১৪৩ ও ২য় ইনিংসে ১২৬ হয়ে থাকে। এই মাঠে প্রথমে বল করে ৪০% ও প্রথমে ব্যাট করে ৫০% জিতার সম্ভবনা থাকে। সম্প্রতি সময়ে মাঠের পিচ বিষয়ে অনেক অভিযোগ দেখা দিচ্ছে।

শেখ মেহেদী হাসানের পরিচয় ও বাড়ি কোথায় এবং ব্যাটিং বোলিং সহ সকল পরিসংখ্যান জানতে এখানে ক্লিক করুন

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৬০০০ হাজার জন। বাংলাদেশের একটি প্রধান ক্রিকেট ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এটি মিরপুর স্টেডিয়াম নামে পরিচিত। ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে এর ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫৫০০০।এর পর অনেকবার সংস্কার করা হয়। সংস্কারের পর এর ধারণ ক্ষমতা কমে ৩৬০০০ এ নেমে গেলেও এটি বাংলাদেশ এর সর্ব বৃহৎ স্টেডিয়াম। ২০২১-২৫ সালে এটি আবার সংস্কার করা হয় এবং এটি হ্রাস পেয়ে ২২০২৫ এ নেমে আসে।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম কোথায়

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশের ঢাকায় মিরপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম । এই স্টেডিয়াম মিরপুরের মিরপুর ৬ নং সেক্টরে অবস্থিত। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০০৬ সালে স্থাপিত হয়। এটি বর্তমানে ক্রিকেট মাঠ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু হিসাবে এটি ব্যবহার হয়।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আয়তন

মাঠের জন্য কোনো নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে না। তবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাস ৪৫০ ফুট (১৩৭) মিটার এবং ৫০০ ফুটের (১৫০) মিটার এর মধ্যেই হয়। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠের মাত্রা ১৮৬ মিটার× ১৩৬ মিটার।

1 thought on “মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর ইতিহাস পরিসংখ্যান এবং পিচ রিপোর্ট”

Leave a Comment